![]() |
ছবিঃ কারুকানন |
রূপকথায় আছে, বুড়ো হাতির দন্ত কোষ এবং মগজে জন্মাতো গোলাকার ও দীপ্তিহীন "গজমুক্তা"।
আবার, গভীর সাগরের তিমি মাছের মাথায় নাকি জন্মাতো হালকা ও স্বল্প উজ্জ্বলতার "মৎস্যমুক্তা"।
বলা হয়ে থাকে, আদিকালে দানব আকৃতির বাশের মধ্যেও নাকি মুক্তা পাওয়া যেত!
আবার কথিত আছে, এক ধরনের বিষধর সাপ কিংবা ব্যঙের মাথায় পাওয়া যেত "সাত রাজার ধন" খ্যাত মহামূল্যবান মুক্তা ।
তবে, এগুলো রূপকথা হোক আর সত্যিই হোক তা কমবেশি সবাই হয়তো শুনেছি। কিন্তুু, সত্যিকারের প্রাকৃতিক মুক্তার উৎস ও সেগুলোর নাম, বৈশিষ্ট্য ক'জনেই জানি? চলুন জেনে নেয়া যাক মুক্তা সম্পর্কে চমকপ্রদ অজানা কিছু তথ্যঃ
পারস্য উপসাগরের প্রাকৃতিকভাবে ঝিনুক থেকে যে মুক্তা পাওয়া সেগুলোকে বলে "বসরাই মুক্তা"। বাহরাইনের ছোট্ট দ্বীপ বসেরার নামানুসারে এই নামকরণ। বসরাই দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তা।
আরব আমিরাতের মারওয়া উপকূলে এখনো প্রকৃত মুক্তাই পাওয়া যায় বেশি।এদের মধ্যে আছে দুর্লভ গোলাপি মুক্তা।
মেক্সিকো উপকূলে এক-আধটা পাওয়া যায় খুবই দুর্লব "কালো মুক্তা"। তাই, ব্রাজিলের বিখ্যাত ফুটবলার পেলের নাম দেয়া হয়েছিল ব্লাক-পার্ল বা কালো মুক্তা!
পার্শবর্তী দেশ মিয়ানমারের ইরাবতী নদীতেও পাওয়া যায় প্রাকৃতিক মুক্তা, যা পরিচিত বার্মিজ মুক্তা নামে।
আমাদের কক্সবাজারের মহেশখালীতে পাওয়া যেত মূল্যবান গোলাপি রঙের মুক্তা। যা একসময় জগদ্বিখ্যাত ছিল "পিংক পার্লের দ্বীপ" হিসেবে
এছাড়াও কদাচিৎ সমুদ্রচারী বিশাল এক ধরনের শঙ্খের মধ্যে জন্মায় গোলাপি রঙের "শঙ্খমুক্তা"।
No comments:
Post a Comment