![]() |
ছবি-কারুকানন |
![]() |
ছবি-কারুকানন |
আভিজাত্যের প্রতীক মুক্তা একটি দুস্প্রাপ্য এবং মূল্যবান রত্ন। যা একসময় শুধু সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েদের গয়নার বাক্সেই শোভা পেত। সময় এখন বদলেছে। এখন সবকিছুতেই মানুষ চায় প্রকৃতির ছোঁয়া৷
প্রাচীনকালে মুক্তা উৎপাদন কৌশল জানা ছিল না। তখন শুধুমাত্র প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মুক্তাই সংগ্রহ করা হতো। কিন্তু ঝিনুকে প্রাকৃতিকভাবে মুক্তা পাওয়া যেতো খুব কম পরিমাণে। যার ফলে শুধুমাত্র অভিজাত শ্রেণীর পক্ষেই মুক্তা ব্যবহার করা সম্ভব হতো। পরবর্তীতে চীন এবং জাপানে মুক্তা উৎপাদন কৌশল উদ্ভাবিত হয় এবং মুক্তার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়।
অত্যধিক ব্যয়বহুল হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া মুক্তার ব্যবহার একেবারেই কম। এর পরিবর্তে কালচার্ড/ফ্রেশ-ওয়াটার পার্ল বা চাষ করা মুক্তার ব্যবহারই বেশি৷ তবে এই দুই ধরনের মুক্তার গুণগত মানে খুব একটা পার্থক্য নেই।এ ছাড়া যেকোনো বয়সে যেকোনো পোশাকের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে যায় মুক্তার গয়না৷
বর্তমানে, শুধু চীনেই বার্ষিক মুক্তা উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৩.৫ হাজার টন! যার অধিকাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপে।চীনের পরেই মুক্তা উৎপাদনে শীর্ষে আছে জাপান। মুক্তার উৎপাদন যেমন ক্রমাহত বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি বাড়ছে চাহিদাও।প্রতি বছর বাংলাদেশেও প্রচুর পরিমাণ মুক্তা আমদানি হয়ে থাকে। মুক্তা এখন সহজলভ্যই বলা চলে। তাই শুধু আভিজাত্যে আর সৌন্দর্যের জন্যই নয়, সাধ্যের মধ্যে আছে এমন দামে মুক্তার গয়না এখন সবার মাঝেই বেশ জনপ্রিয়।
বাংলাদেশে মুক্তা চাষ প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মোহসেনা বেগম তনু জানান, একটি ঝিনুকে ১০ থেকে ১২টি মুক্তা জন্মে। প্রতিটি মুক্তার খুচরামূল্য গড়ে ৫০ টাকা। প্রতি শতাংশে ৬০ থেকে ১০০টি ঝিনুক চাষ করা যায়।
No comments:
Post a Comment