![]() |
ছবি-কারুকানন |
আভিজাত্যের প্রতীক মুক্তা একটি দুস্প্রাপ্য এবং মূল্যবান রত্ন । পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন রত্ন মুক্তা। এটি সৌন্দর্য প্রকাশের সহায়ক রত্ন। প্রায় ছয় হাজার বছর আগে বা তারও আগে থেকে শুরু হয়েছে মানুষের মুক্তার সঙ্গে সখ্যতা।
খাঁটি মুক্তা কীভাবে তৈরি হয় এটা হয়তোবা অনেকের অজানা। সাগরের নিচে কুসুম গরম বালুর বিছানায় বাস করে ঝিনুক। সেখানে খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আবার অনেক সময় নড়াচড়া ও পানির স্রোতে বাইরের কোনও বস্তু, সাধারণত বালুকণা ঢুকে পড়ে ঝিনুকের পেটে। বালুকণা বাইরে বেরোতে না পারায় ঝিনুকের পেটে দানা বাঁধে। ঝিনুকের শরীর তখন অস্বস্তি এড়াতে এই বস্তুর চারদিকে ছড়াতে শুরু করে এক ধরনের তরল আঠালো বস্তু। ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের অতি পাতলা এ স্তর ক্রিস্টালের মতো করে অনুপ্রবেশকারী বস্তুটির গায়ে আস্তরণ ফেলতে শুরু করে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। একসময় তা মুক্তায় পরিণত হয়।
আর এভাবেই আমরা পাই প্রাকৃতিক খাঁটি মুক্তা। পৃথিবীর স্বল্প কিছু স্থানে পাওয়া যায় খাঁটি মুক্তা, যার মধ্যে পারস্য উপসাগরের প্রাকৃতিকভাবে ঝিনুক থেকে যে মুক্তা পাওয়া সেগুলোকে বলে "বসরাই মুক্তা"। বাহরাইনের ছোট্ট দ্বীপ বসেরার নামানুসারে এই নামকরণ। বসরাই দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তা।
No comments:
Post a Comment