![]() |
ছবি-কারুকানন |
মুক্তার ইংরেজি নাম Pearl যাকে আমরা বাংলায় বলি মুক্তা বা মুক্তো। প্রায় ১৪শ বছর আগে জিনইয়াং নামক এক চীনা নাগরিক আবিষ্কার করে ফেলেন মুক্তার জন্ম রহস্য। সেই থেকে প্রাকৃতিক মুক্তা ছাড়াও পৃথিবী দেখলো কৃত্রিম উপায়ে চাষের মুক্তা। যেগুলোকে বলে কালচার্ড-পার্ল।
প্রাকৃতিক মুক্তার স্বল্পতা ও সীমাহীন দামের কারনে অচিরেই জনপ্রিয়তা হয়ে উঠলো চাষের মুক্তা বা কালচার্ড-পার্ল। প্রাকৃতিক মুক্তা পাওয়া যায় যে ঝিনুক থেকে তাকে বলে 'পিংকটাডা মার্গারিটিফেরা' এবং কৃত্রিম মুক্তা চাষ করা হয় যে ঝিনুকের মাধ্যমে তাকে বলা হয় 'পিংকটাডা মারটেনসি'। মুক্তা মল্লাস্ক ম্যান্টেল টিস্যুগুলির মধ্যে এপিডার্মাল কোষ থেকে ন্যাকেরের স্রাব দ্বারা গঠিত হয়। চাষের মুক্তো উৎপাদনে সাধারণত পাঁচটি ধাপ অন্তর্ভুক্ত: মুক্তা চাষের উপযোগী ঝিনুক নির্বাচন, ঝিনুকে নিউক্লিয়াস রোপণ, ঝিনুকের লালন-পালন, ঝিনুক থেকে মুক্তো সংগ্রহ এবং মুক্তো প্রক্রিয়াকরণ।
মুক্তো উৎপাদনের জন্য এই প্রক্রিয়াটির ব্যবহার করে এখন চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার এবং মেক্সিকো সহ ৩০ টিরও বেশি দেশে মুক্তো চাষ হচ্ছে।
FAO এর বিশ্বব্যাপী এক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, বিগত দশকে (২০০৫ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত) চীনে চাষের মুক্তোর গড় বার্ষিক উৎপাদন ছিল ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের যা প্রায় ৩৫৪০ টন। বিশ্বব্যাপী চাষের মুক্তো উৎপাদনের ৯৮% এরও বেশি চীনে উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে মিঠা/স্বাদু পানির মুক্তো ৯৯.৯℅।
জাপান এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক মুক্তো/লোনা পানির মুক্তো উৎপাদনকারী এবং মুক্তো চাষের জন্য ঝিনুক ও মুক্তো চাষের উন্নত প্রযুক্তি বিকাশ করেছে। বিগত দশকে জাপানে সামুদ্রিক চাষের মুক্তো উৎপাদনের গড় বার্ষিক মূল্য ছিল ১২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত মুক্তোর প্রায় ৫১.৬% বা ২৩ টন।
Good info
ReplyDelete