Nov 29, 2020

মুক্তায় মুগ্ধতা; মুক্তার গহনা ‍ও বাজার দাম

 
মুক্তা:পার্ল:মুক্তা ছবি
ব্যারোক জাতীয় পার্ল

মুক্তায় মুগ্ধতা/মুক্তার গহনাঃ

রকমারি পোশাকের পাশাপাশি গহনার প্রতি আকর্ষণ মেয়েদের আদিকাল থেকেই। তবে ইদানিং ভারী সোনার গহনা পরার চাহিদা খুব একটা নেই। সে ক্ষেত্রে মুক্তার গয়না তার পছন্দের জায়গা ধরে রেখেছে আগের মতোই। বলতে গেলে মুক্তার গয়না এখন ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।কারণ মুক্তোর মালা দেখতে অভিজাত, যে কোনো পোশাকে মানানসই।

মুক্তার গয়নাঃ

মুক্তা গোলাকার হলেও ডিম্বাকার ও বোতাম আকৃতিরও পাওয়া যাচ্ছে মুক্তা। এ ছাড়া সাদা, অফহোয়াইট, নীল, সবুজ ও ধূসর রঙের মুক্তাও হয়।যত্নশীল হলে অনায়েসে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারবেন মুক্তার গহনা। লকেট, দুল মালা, নেকলেস, টায়রা, টিকলি, ব্রেসলেট, আংটি, নাকফুলসহ যে কোনো গহনা এমনকি ব্যাগ এবং পোশাকেও মুক্তা এনে দিতে পারে আভিজাত্যের ছোঁয়া ও শুভ্রতা। মুক্তা মানিয়ে যায় সব বয়স ও সব পোশাকের সঙ্গে।

মুক্তার প্রাকার ও বাজার দামঃ

মুক্তা দুই ধরনের_ প্রাকৃতিক ও চাষের। প্রাকৃতিক মুক্তার দাম ও চাহিদা দুটিই বেশি। এটি সাগরের বেশ গভীরে জন্মায়। তাই এটি সহজলভ্য নয়। বাজারে সচরাচর যে মুক্তা পাওয়া যায়, তার প্রায় সবই চাষের মুক্তা। বাংলাদেশে মুক্তা চাষ প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মোহসেনা বেগম তনু জানান, একটি ঝিনুকে ১০ থেকে ১২টি মুক্তা জন্মে। প্রতিটি মুক্তার খুচরামূল্য গড়ে ৫০ টাকা। প্রতি শতাংশে ৬০ থেকে ১০০টি ঝিনুক চাষ করা যায়। এক হিসাবে দেখা যায়, প্রতি শতাংশে ৮০টি ঝিনুকে গড়ে ১০টি করে ৮০০ মুক্তা পাওয়া যায়, যার বাজারমূল্য ৪০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে প্রতি একরে ৪০ লাখ টাকার মুক্তা উৎপাদন করা সম্ভব।


মুক্তার ফ্যাশনঃ


হ্যান্ড পেইন্টেড, তাঁতের শাড়ি, জামদানি, টাঙ্গাইল যে কোনো দেশি শাড়ির সঙ্গেই পরতে পারেন মুক্তার গহনা। যে কোনো রঙের সঙ্গে একমাত্র মুক্তার গহনায় অনায়াসে চলে কোনো দ্বিধা ছাড়াই। পরতে পারেন এক লহরের লকেট চেইনের সঙ্গে। কানে ছোট এক মুক্তা পাথরের দুল। হাতে আংটি। চাইলে দিতে পারেন চিকন চুড়ি অথবা ব্রেসলেট। শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন মোটা চার থেকে পাঁচটা লহরের মোটা গহনাও। সালোয়ার- কামিজের সঙ্গেও অনায়াসে চলে মুক্তার গহনা, তবে সেটি হালকা ধরনের হতে হবে। পরা যেতে পারে লম্বা এক লাইনের মালাও।


ওয়েস্টার্ন পোশাকে মুক্তার গহনা আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয়। ফিরিয়ে আনে ট্র্যাডিশনাল লুক। বিশেষ করে টিনএজদের ক্ষেত্রে মুক্তার গহনা একটু সচেতনভাবে ক্যারি করতে হবে। ওয়েস্টার্ন পোশাকে পরতে পারেন বেশ ভারী চওড়া অনেক লহরের নেকলেস। হাতেও দেওয়া যেতে পারে চওড়া ব্রেসলেট। গলায় ভারী পরলে কানে পরার প্রয়োজন নেই। গাউন, কোট, শার্ট_ সবকিছুর সঙ্গেই মানাবে এগুলো। প্যান্ট পরলে কোমরে দিতে পারেন মুক্তার চিকন মালা রাউন্ডভাবে।


চুলে লাগাতে পারেন মুক্তার সি্নগ্ধতা। চুল একপাশে করে লাগান মুক্তাপাথর বসানো ক্লিপ। আবার চুল সামনে একটু উঁচু করে তাতে গোলভাবে বসান মুক্তার মালা। চুলের লম্বা বেণি অথবা খোঁপায় বসাতে পারেন সিঙ্গেল মুক্তা।


মেকআপে মুক্তার গহনা আলাদা একটা সৌন্দর্য বহন করে। তাই এর সঙ্গে সাজের ব্যাপারেও থাকতে হবে সচেতন। মুক্তা আভিজাত্যেও প্রকাশ ঘটায়। কেউ অনেক, আবার কেউ অল্প মুক্তার গহনা পরতে পারেন_ তাই মেকআপও হবে সেটা বুঝে। হালকা গহনায় ফরমাল মেকআপ এবং ভারীতে ফেন্সি লুক আনা যেতে পারে।


মুক্তা দিয়ে অনায়াসে ফ্যাশন করা যায়। সে ক্ষেত্রে চোখটা একটু ব্লু শেড রাখলে ভালো লাগবে, যেহেতু গহনা সাদা। আবার সিম্পল সিঙ্গেল মুক্তার গহনা পরলে মেকআপটা পশ হওয়া প্রয়োজন। হোয়াইট বেজ মেকআপ করতে হবে। চুলটাও থাকবে গোছানো।


সম্পাদনা-মাহমুদা আক্তার তারিন


দামসহ মুক্তার গয়না দেখুন

Nov 26, 2020

চাষের মুক্তার দাম/মুক্তার সহজলভ্যতা/Cultured pearls/freshwater pearls

ছবি-কারুকানন

ছবি-কারুকানন


আভিজাত্যের প্রতীক মুক্তা একটি দুস্প্রাপ্য এবং মূল্যবান রত্ন। যা একসময় শুধু সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়েদের গয়নার বাক্সেই শোভা পেত। সময় এখন বদলেছে। এখন সবকিছুতেই মানুষ চায় প্রকৃতির ছোঁয়া৷


প্রাচীনকালে মুক্তা উৎপাদন কৌশল জানা ছিল না। তখন শুধুমাত্র প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত মুক্তাই সংগ্রহ করা হতো। কিন্তু ঝিনুকে প্রাকৃতিকভাবে মুক্তা পাওয়া যেতো খুব কম পরিমাণে। যার ফলে শুধুমাত্র অভিজাত শ্রেণীর পক্ষেই মুক্তা ব্যবহার করা সম্ভব হতো। পরবর্তীতে চীন এবং জাপানে মুক্তা উৎপাদন কৌশল উদ্ভাবিত হয় এবং মুক্তার বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। 


অত্যধিক ব্যয়বহুল হওয়ায় প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া মুক্তার ব্যবহার একেবারেই কম।  এর পরিবর্তে কালচার্ড/ফ্রেশ-ওয়াটার পার্ল বা চাষ করা মুক্তার ব্যবহারই বেশি৷ তবে এই দুই ধরনের মুক্তার গুণগত মানে খুব একটা পার্থক্য নেই।এ ছাড়া যেকোনো বয়সে যেকোনো পোশাকের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে যায় মুক্তার গয়না৷ 


বর্তমানে, শুধু চীনেই বার্ষিক মুক্তা উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ৩.৫ হাজার টন! যার অধিকাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপে।চীনের পরেই মুক্তা উৎপাদনে শীর্ষে আছে জাপান। মুক্তার উৎপাদন যেমন ক্রমাহত বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি বাড়ছে চাহিদাও।প্রতি বছর বাংলাদেশেও প্রচুর পরিমাণ মুক্তা আমদানি হয়ে থাকে। মুক্তা এখন সহজলভ্যই বলা চলে। তাই শুধু আভিজাত্যে আর সৌন্দর্যের জন্যই নয়, সাধ্যের মধ্যে আছে এমন দামে মুক্তার গয়না এখন সবার মাঝেই বেশ জনপ্রিয়।


বাংলাদেশে মুক্তা চাষ প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মোহসেনা বেগম তনু জানান, একটি ঝিনুকে ১০ থেকে ১২টি মুক্তা জন্মে। প্রতিটি মুক্তার খুচরামূল্য গড়ে ৫০ টাকা। প্রতি শতাংশে ৬০ থেকে ১০০টি ঝিনুক চাষ করা যায়।


                                                                                                        সম্পাদনায়-মোঃ সাইফুল ইসলাম


আকর্ষনীয় কালচার্ড পার্ল বা চাষের মুক্তার গহনা দেখুন....


খাঁটি মুক্তা কিভাবে তৈরি হয়


ছবি-কারুকানন


আভিজাত্যের প্রতীক মুক্তা একটি দুস্প্রাপ্য এবং মূল্যবান রত্ন । পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন রত্ন মুক্তা। এটি সৌন্দর্য প্রকাশের সহায়ক রত্ন। প্রায় ছয় হাজার বছর আগে বা তারও আগে থেকে শুরু হয়েছে মানুষের মুক্তার সঙ্গে সখ্যতা।

খাঁটি মুক্তা কীভাবে তৈরি হয় এটা হয়তোবা অনেকের অজানা। সাগরের নিচে কুসুম গরম বালুর বিছানায় বাস করে ঝিনুক। সেখানে খাদ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আবার অনেক সময় নড়াচড়া ও পানির স্রোতে বাইরের কোনও বস্তু, সাধারণত বালুকণা ঢুকে পড়ে ঝিনুকের পেটে। বালুকণা বাইরে বেরোতে না পারায় ঝিনুকের পেটে দানা বাঁধে। ঝিনুকের শরীর তখন অস্বস্তি এড়াতে এই বস্তুর চারদিকে ছড়াতে শুরু করে এক ধরনের তরল আঠালো বস্তু। ক্যালসিয়াম কার্বোনেটের অতি পাতলা এ স্তর ক্রিস্টালের মতো করে অনুপ্রবেশকারী বস্তুটির গায়ে আস্তরণ ফেলতে শুরু করে। বেশ কয়েক বছর ধরে এই প্রক্রিয়া চলতে থাকে। একসময় তা মুক্তায় পরিণত হয়।

আর এভাবেই আমরা পাই প্রাকৃতিক খাঁটি মুক্তা। পৃথিবীর স্বল্প কিছু স্থানে পাওয়া যায় খাঁটি মুক্তা, যার মধ্যে পারস্য উপসাগরের প্রাকৃতিকভাবে ঝিনুক থেকে যে মুক্তা পাওয়া সেগুলোকে বলে "বসরাই মুক্তা"। বাহরাইনের ছোট্ট দ্বীপ বসেরার নামানুসারে এই নামকরণ। বসরাই দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তা।

                                                                                                        সম্পাদনা-মাহমুদা আক্তার তারিন

মুক্তার গহনা দেখুন..কারুকানন


মুক্তার গহনার যত্ন/মুক্তার গহনা সরক্ষন

 

ছবি-কারুকানন



সৌন্দর্য বর্ধন, ঐশ্বর্য, প্রেম, গৌরব, মর্যাদা ইত্যাদি প্রকাশে নানা রকম রত্নের ব্যবহার হয়ে আসছে সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই। মুক্তা এর মধ্যে অন্যতম। একে 'রত্নের রানি'ও বলা হয়। কারণ মুক্তা নারীর কমনীয়তাকে প্রতীকায়িত করে। তাছাড়াও, মুক্তোর মালা দেখতে অভিজাত, যে কোনো পোশাকে মানানসই।


চলুন জেনে নেই, কিভাবে সযত্নে রাখবেন আপনার শখের মুক্তার গহনা-


🍀মুক্তার গহনা সহজে নষ্ট হয় না।


🍀মুক্তা ও সোনার গহনা কখনো একসঙ্গে রাখবেন না।


🍀খোলামেলা জায়গায় রাখুন।পারফিউম, বডি স্প্রে থেকে দূরে রাখুন।


🍀গহনা যত পরবেন ততই ভালো থাকবে। শরীরের ময়েশ্চারাইজার মুক্তার জন্য ভালো।


🍀পানিতে ভেজালে এটি নষ্ট হয় না।


🍀পরিষ্কারের জন্য শ্যাম্পুপানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর নরম শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।


🍀তুলায় বা টিসুতে পেঁচিয়ে সংরক্ষন করুন।


ধন্যবাদ।


                                                                                        সম্পাদনা-মাহমুদা আক্তার তারিন।


মুক্তার জানা-অজানা

 

ছবিঃ কারুকানন


রূপকথায়  আছে, বুড়ো হাতির দন্ত কোষ এবং মগজে জন্মাতো গোলাকার ও দীপ্তিহীন "গজমুক্তা"। 


আবার, গভীর সাগরের তিমি মাছের মাথায় নাকি জন্মাতো হালকা ও স্বল্প উজ্জ্বলতার "মৎস্যমুক্তা"। 


বলা হয়ে থাকে, আদিকালে দানব আকৃতির বাশের মধ্যেও নাকি মুক্তা পাওয়া যেত! 


আবার কথিত আছে,  এক ধরনের বিষধর সাপ কিংবা ব্যঙের মাথায় পাওয়া যেত "সাত রাজার ধন" খ্যাত মহামূল্যবান মুক্তা । 



তবে, এগুলো রূপকথা হোক আর সত্যিই হোক তা কমবেশি সবাই হয়তো শুনেছি। কিন্তুু, সত্যিকারের প্রাকৃতিক মুক্তার উৎস ও সেগুলোর নাম, বৈশিষ্ট্য ক'জনেই জানি? চলুন জেনে নেয়া যাক মুক্তা সম্পর্কে চমকপ্রদ অজানা কিছু তথ্যঃ


পারস্য উপসাগরের প্রাকৃতিকভাবে ঝিনুক থেকে যে মুক্তা পাওয়া সেগুলোকে বলে "বসরাই মুক্তা"। বাহরাইনের ছোট্ট দ্বীপ বসেরার নামানুসারে এই নামকরণ। বসরাই দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তা।


আরব আমিরাতের মারওয়া উপকূলে এখনো প্রকৃত মুক্তাই পাওয়া যায় বেশি।এদের মধ্যে আছে দুর্লভ গোলাপি মুক্তা।  

  

মেক্সিকো উপকূলে এক-আধটা পাওয়া যায় খুবই দুর্লব "কালো মুক্তা"। তাই, ব্রাজিলের বিখ্যাত ফুটবলার পেলের নাম দেয়া হয়েছিল ব্লাক-পার্ল বা কালো মুক্তা! 


পার্শবর্তী দেশ মিয়ানমারের ইরাবতী নদীতেও পাওয়া যায় প্রাকৃতিক মুক্তা, যা পরিচিত বার্মিজ মুক্তা নামে। 


আমাদের কক্সবাজারের মহেশখালীতে পাওয়া যেত মূল্যবান গোলাপি রঙের মুক্তা। যা একসময় জগদ্বিখ্যাত ছিল "পিংক পার্লের দ্বীপ" হিসেবে 


এছাড়াও  কদাচিৎ সমুদ্রচারী বিশাল এক ধরনের শঙ্খের মধ্যে জন্মায় গোলাপি রঙের "শঙ্খমুক্তা"।


                                                                                                     সম্পদনায়-মাহমুদা আক্তার তারিন

মুক্তার গহনা দেখুন..




Nov 25, 2020

পৃথিবীর বিখ্যাত ও মূল্যবান মুক্তা

 


ছবি-কারুকানন


মুক্তা হলো একমাত্র রত্ন, যা জীবিত কোনো প্রাণী তৈরি করে। সব ঝিনুকে কিন্তু মুক্তা মেলে না। আবার সব মুক্তাই মূল্যবান নয়।

১৯৩৪ সালে ফিলিপাইনে পাওয়া গিয়েছিল মস্ত এক মুক্তা। ৭ কেজি ওজনের সেই মুক্তার দাম ধরা হয়েছিল সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলার।

সপ্তদশ শতাব্দীতে পর্যটক ও বণিক, টার্ভানিয়ের পারস্যের শাহের কাছে একটি মুক্তা বিক্রি করেন যার দাম ছিল ১,৮০,০০০ পাউন্ড।

এরূপ কিছু বিখ্যাত মুক্তার বিবরণঃ-

টেন থাউজেন্ড ইয়ারস অব লাক্সারি’ বা ‘১০ হাজার বছরের বিলাসিতাঃ 

২০১৭ সালে আরব আমিরাতের মারওয়া উপদ্বীপে সন্ধান পাওয়া যায় প্রায় ৮ হাজার বছরের পুরনো মুক্তাটির, যা আবু ধাবির ল্যুভর জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে।

লা পেরেগ্রিনাঃ

লা পেরিগ্রিনা হলো পৃাথবীর বিখ্যাত মুক্তাগুলোর একটি। ৫০০ বছরের পুরনো এই মুক্তাটা একটা পায়রার ডিমের আকৃতির। এর সাবেক মালিকদের মধ্যে ছিলেন স্পেনের রাজা, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট আর এলিজাবেথ টেলর।

রেইনি দেস পার্লঃ

ফ্রান্সের রাজমুকুটে সাড়ে সাতাশ ক্যারেটের মুক্তা ছিল, যার নাম লা রেইনি দেস পার্ল (Reine des Parles)। ১৯৭২ সালে এই মুক্তাটি চুরি হয়ে যায়। ফরাসি সম্রাটের দরবারে আরও একটি বিখ্যাত মুক্তা ছিল যার নাম রিজেন্তে (La Regent) যার ওজন ছিল ৩৩৭ গ্রেন ।

হোপ পার্লঃ

উনিশ শতকে লন্ডন ও আমষ্টার্ডামের ব্যাঙ্কার হেনরি টমাস হোপের কাছে থাকা এই মুক্তটি ছিল ‘ব্যারোক’ পর্যায়ের মুক্তা। প্রাকৃতিক উপায়ের পাওয়া সবচেয়ে বড় মুক্তাগুলোকে ব্যারোক বলা হত। হোপ পার্লের ওজন ছিল ১,৮৬০ গ্রেন। 

পিন্ক কুইনঃ

মিষ্টি জলের বিখ্যাত মুক্তা হল ‘পিন্ক কুইন’ যার ওজন ২৩১ ক্যারেট।

ধন্যবদ

ম্পাদনা-মাহমুদা আক্তার তারিন


মিঠাপানির চাষের মুক্তা বা কালচার্ড পার্লের আকর্ষনীয় গহনা দেখুন

Nov 24, 2020

মুক্তা উৎপাদনের ইতিহাস

 

ছবি-কারুকানন

মুক্তার ইংরেজি নাম Pearl যাকে আমরা বাংলায় বলি মুক্তা বা মুক্তো।  প্রায় ১৪শ বছর আগে জিনইয়াং নামক এক চীনা নাগরিক আবিষ্কার করে ফেলেন মুক্তার জন্ম রহস্য। সেই থেকে প্রাকৃতিক মুক্তা ছাড়াও পৃথিবী দেখলো কৃত্রিম উপায়ে চাষের মুক্তা। যেগুলোকে বলে কালচার্ড-পার্ল। 

প্রাকৃতিক মুক্তার স্বল্পতা ও সীমাহীন দামের কারনে অচিরেই জনপ্রিয়তা হয়ে উঠলো চাষের মুক্তা বা কালচার্ড-পার্ল। প্রাকৃতিক মুক্তা পাওয়া যায় যে ঝিনুক থেকে তাকে বলে 'পিংকটাডা মার্গারিটিফেরা' এবং কৃত্রিম মুক্তা চাষ করা হয় যে ঝিনুকের মাধ্যমে তাকে বলা হয় 'পিংকটাডা মারটেনসি'। মুক্তা মল্লাস্ক ম্যান্টেল টিস্যুগুলির মধ্যে এপিডার্মাল কোষ থেকে ন্যাকেরের স্রাব দ্বারা গঠিত হয়। চাষের মুক্তো উৎপাদনে সাধারণত পাঁচটি ধাপ অন্তর্ভুক্ত: মুক্তা চাষের উপযোগী ঝিনুক নির্বাচন, ঝিনুকে নিউক্লিয়াস রোপণ, ঝিনুকের লালন-পালন, ঝিনুক থেকে মুক্তো সংগ্রহ এবং মুক্তো প্রক্রিয়াকরণ। 

মুক্তো উৎপাদনের জন্য এই প্রক্রিয়াটির ব্যবহার করে এখন চীন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার এবং মেক্সিকো সহ ৩০ টিরও বেশি দেশে মুক্তো চাষ হচ্ছে। 

FAO এর বিশ্বব্যাপী এক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, বিগত দশকে (২০০৫ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত) চীনে চাষের মুক্তোর গড় বার্ষিক উৎপাদন ছিল ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের যা প্রায় ৩৫৪০ টন। বিশ্বব্যাপী চাষের মুক্তো উৎপাদনের ৯৮% এরও বেশি চীনে উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে মিঠা/স্বাদু পানির মুক্তো ৯৯.৯℅। 

জাপান এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক মুক্তো/লোনা পানির মুক্তো উৎপাদনকারী এবং মুক্তো চাষের জন্য ঝিনুক ও মুক্তো চাষের উন্নত প্রযুক্তি বিকাশ করেছে। বিগত দশকে জাপানে সামুদ্রিক চাষের মুক্তো উৎপাদনের গড় বার্ষিক মূল্য ছিল ১২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত মুক্তোর প্রায় ৫১.৬% বা ২৩ টন

সম্পাদনা-মাহমুদা আক্তার তারিন

কালচার্ড-পার্ল বা চাষের মুক্তার আর্কষনীয় গহনার জন্য ভিজিট করুন.. কারুকানন

মুক্তায় মুগ্ধতা; মুক্তার গহনা ‍ও বাজার দাম

  ব্যারোক জাতীয় পার্ল মুক্তায় মুগ্ধতা/মুক্তার গহনাঃ রকমারি পোশাকের পাশাপাশি গহনার প্রতি আকর্ষণ মেয়েদের আদিকাল থেকেই। তবে ইদানিং ভারী সোনার গ...