![]() |
ব্যারোক জাতীয় পার্ল |
মুক্তায় মুগ্ধতা/মুক্তার গহনাঃ
রকমারি পোশাকের পাশাপাশি গহনার প্রতি আকর্ষণ মেয়েদের আদিকাল থেকেই। তবে ইদানিং ভারী সোনার গহনা পরার চাহিদা খুব একটা নেই। সে ক্ষেত্রে মুক্তার গয়না তার পছন্দের জায়গা ধরে রেখেছে আগের মতোই। বলতে গেলে মুক্তার গয়না এখন ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।কারণ মুক্তোর মালা দেখতে অভিজাত, যে কোনো পোশাকে মানানসই।
মুক্তার গয়নাঃ
মুক্তা গোলাকার হলেও ডিম্বাকার ও বোতাম আকৃতিরও পাওয়া যাচ্ছে মুক্তা। এ ছাড়া সাদা, অফহোয়াইট, নীল, সবুজ ও ধূসর রঙের মুক্তাও হয়।যত্নশীল হলে অনায়েসে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারবেন মুক্তার গহনা। লকেট, দুল মালা, নেকলেস, টায়রা, টিকলি, ব্রেসলেট, আংটি, নাকফুলসহ যে কোনো গহনা এমনকি ব্যাগ এবং পোশাকেও মুক্তা এনে দিতে পারে আভিজাত্যের ছোঁয়া ও শুভ্রতা। মুক্তা মানিয়ে যায় সব বয়স ও সব পোশাকের সঙ্গে।
মুক্তার প্রাকার ও বাজার দামঃ
মুক্তা দুই ধরনের_ প্রাকৃতিক ও চাষের। প্রাকৃতিক মুক্তার দাম ও চাহিদা দুটিই বেশি। এটি সাগরের বেশ গভীরে জন্মায়। তাই এটি সহজলভ্য নয়। বাজারে সচরাচর যে মুক্তা পাওয়া যায়, তার প্রায় সবই চাষের মুক্তা। বাংলাদেশে মুক্তা চাষ প্রকল্পের প্রধান গবেষক ড. মোহসেনা বেগম তনু জানান, একটি ঝিনুকে ১০ থেকে ১২টি মুক্তা জন্মে। প্রতিটি মুক্তার খুচরামূল্য গড়ে ৫০ টাকা। প্রতি শতাংশে ৬০ থেকে ১০০টি ঝিনুক চাষ করা যায়। এক হিসাবে দেখা যায়, প্রতি শতাংশে ৮০টি ঝিনুকে গড়ে ১০টি করে ৮০০ মুক্তা পাওয়া যায়, যার বাজারমূল্য ৪০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে প্রতি একরে ৪০ লাখ টাকার মুক্তা উৎপাদন করা সম্ভব।
মুক্তার ফ্যাশনঃ
হ্যান্ড পেইন্টেড, তাঁতের শাড়ি, জামদানি, টাঙ্গাইল যে কোনো দেশি শাড়ির সঙ্গেই পরতে পারেন মুক্তার গহনা। যে কোনো রঙের সঙ্গে একমাত্র মুক্তার গহনায় অনায়াসে চলে কোনো দ্বিধা ছাড়াই। পরতে পারেন এক লহরের লকেট চেইনের সঙ্গে। কানে ছোট এক মুক্তা পাথরের দুল। হাতে আংটি। চাইলে দিতে পারেন চিকন চুড়ি অথবা ব্রেসলেট। শাড়ির সঙ্গে পরতে পারেন মোটা চার থেকে পাঁচটা লহরের মোটা গহনাও। সালোয়ার- কামিজের সঙ্গেও অনায়াসে চলে মুক্তার গহনা, তবে সেটি হালকা ধরনের হতে হবে। পরা যেতে পারে লম্বা এক লাইনের মালাও।
ওয়েস্টার্ন পোশাকে মুক্তার গহনা আপনাকে করে তুলবে আকর্ষণীয়। ফিরিয়ে আনে ট্র্যাডিশনাল লুক। বিশেষ করে টিনএজদের ক্ষেত্রে মুক্তার গহনা একটু সচেতনভাবে ক্যারি করতে হবে। ওয়েস্টার্ন পোশাকে পরতে পারেন বেশ ভারী চওড়া অনেক লহরের নেকলেস। হাতেও দেওয়া যেতে পারে চওড়া ব্রেসলেট। গলায় ভারী পরলে কানে পরার প্রয়োজন নেই। গাউন, কোট, শার্ট_ সবকিছুর সঙ্গেই মানাবে এগুলো। প্যান্ট পরলে কোমরে দিতে পারেন মুক্তার চিকন মালা রাউন্ডভাবে।
চুলে লাগাতে পারেন মুক্তার সি্নগ্ধতা। চুল একপাশে করে লাগান মুক্তাপাথর বসানো ক্লিপ। আবার চুল সামনে একটু উঁচু করে তাতে গোলভাবে বসান মুক্তার মালা। চুলের লম্বা বেণি অথবা খোঁপায় বসাতে পারেন সিঙ্গেল মুক্তা।
মেকআপে মুক্তার গহনা আলাদা একটা সৌন্দর্য বহন করে। তাই এর সঙ্গে সাজের ব্যাপারেও থাকতে হবে সচেতন। মুক্তা আভিজাত্যেও প্রকাশ ঘটায়। কেউ অনেক, আবার কেউ অল্প মুক্তার গহনা পরতে পারেন_ তাই মেকআপও হবে সেটা বুঝে। হালকা গহনায় ফরমাল মেকআপ এবং ভারীতে ফেন্সি লুক আনা যেতে পারে।
মুক্তা দিয়ে অনায়াসে ফ্যাশন করা যায়। সে ক্ষেত্রে চোখটা একটু ব্লু শেড রাখলে ভালো লাগবে, যেহেতু গহনা সাদা। আবার সিম্পল সিঙ্গেল মুক্তার গহনা পরলে মেকআপটা পশ হওয়া প্রয়োজন। হোয়াইট বেজ মেকআপ করতে হবে। চুলটাও থাকবে গোছানো।
সম্পাদনা-মাহমুদা আক্তার তারিন